বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম ও লিখে কিভাবে আয় করা যায়?
আর্টিকেল রাইটিং কি ?
যেহেতু আমরা বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সম্পর্কে কথা বলব তাহলে আগে আমরা
আর্টিকেল রাইটিং কি সেটা জানি।
কোন সুনির্দিষ্ট বিষয়বস্তু নিয়ে পড়াশোনা ও গবেষণা করে যথাযথ তথ্যবহুল
লেখা ছবি ও ভিডিও এর মাধ্যমে উপস্থাপনা করাই হলো কন্টেন রাইটিং আর অনেকেই
আমরা একে আর্টিকেল রাইটিং এ বলে থাকি।
পেজ সূচিপত্র ঃ বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়মাবলী।
- ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
- আর্টিকেলের জন্য সুন্দর টাইটেল নির্বাচন করা
- আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন যুক্ত করা
- আর্টিকেলে পেজ সূচিপত্র যুক্ত করা
- আর্টিকেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা
- আর্টিকেলে আরো পড়ুন বাটন যুক্ত করা
- আর্টিকেলের লেখাগুলোকে ফরমেটিং করা
- আর্টিকেলের মধ্যে ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করা
- স্ক্রিনশট গুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা
- ফিচার ইমেজ (ছবি) ব্যবহার করা ও এস ই ও করা
- আর্টিকেল শেষে উপসংহার যুক্ত করা
ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করা
যেকোনো আর্টিকেল লেখার প্রথম শর্ত হচ্ছে একটা ফোকাস নির্বাচন করা। কারণ
সেই কিওয়ার্ড টি আমাদের আর্টিকেলটিকে গুগলের রেংক করাতে সাহায্য
করবে। এই কি ওয়ার্ডের মাধ্যমে কন্টেন্ট গুগলে রেংক করে।
তাহলে আমরা কথা বলি ফোকাস কি ওয়ার্ড কি যেমন মনে করেন " অনলাইন
থেকে কিভাবে টাকা ইনকাম করা যায়" এটা একটা টাইটেল এখানে ফোকাস কিওয়ার্ড
হলো "ইনকাম" বা "টাকা ইনকাম"।
তাই আমরা ফোকাস কিওয়ার্ড নির্বাচন করে কন্টেন্ট লিখব।
আর্টিকেলের জন্য সুন্দর টাইটেল নির্বাচন করা
যেকোনো আর্টিকেলের জন্য সুন্দর টাইটেল নির্বাচন করা অত্যন্ত জরুরি। কেননা
টাইটেল সুন্দর হলে বা টাইটেল পছন্দ হলে মানুষজন আর্টিকেলটি পড়তে আগ্রহী
হবে। আর অবশ্যই টাইটেলটি ৫-৮ শব্দের মধ্যে হলে ভালো হবে।
টাইটেলটি অবশ্যই কিওয়ার্ডের সাথে মিল থাকতে হবে। যেমন মনে করেন
আমি কন্টেন্ট লিখছি "কিভাবে টাকা আয় করা যায়" আমার কিওয়ার্ড হচ্ছে "টাকা
আয়" আর আমার পোস্টের টাইটেল যদি হয় "কিভাবে ভাত খাওয়া হয় এর নিয়ম" তাহলে তো
টাইটেল আর কিওয়ার্ড এক হলো না।
তাই আমরা যখন কন্টেন্ট লিখব তখন ফোকাস কিওয়ার্ড বা কিওয়ার্ড এর সাথে
টাইটেলের মিল রাখতে হবে এবং টাইটেল এর মধ্যে ফোকাস কিওয়ার্ডটি থাকতে হবে।
আরো পড়ুন ঃ দুই কেজি ওজন কমাতে কত ক্যালরি বার্ন করতে হয়?
আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন যুক্ত করা
যেকোনো আর্টিকেলে ভূমিকা বাটন যুক্ত করা জরুরী। আর্টিকেল লেখার
সময় টাইটেল এর পরেই একটি ভূমিকা বাটন বসাতে হবে।
ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন
আর্টিকেল লেখার সময় টাইটেল এর পরে একটি ভুমিকা বাটন বসাতে হবে এবং এরপরে
ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন লিখতে হবে। ভূমিকা বা মেটা
ডেসক্রিপশনে মোট ৪ লাইন লিখতে হবে।
এবং পুরো আর্টিকেলটিতে আমি কি বলতে চাচ্ছি তা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত
ধারণা দিতে হবে এবং দুই লাইনের এক প্যারা তারপর একটা ফিচার ইমেজ তারপরে আবার
দুই লাইনের একটা প্যারা এভাবে লিখতে হবে।
আর্টিকেলে পেজ সূচিপত্র যুক্ত করা
আর্টিকেল লেখায় ভূমিকা বা মেটা ডেসক্রিপশন এর পরে একটি পেজ সূচিপত্র যুক্ত
করতে হবে। পুরো আর্টিকেলটিতে আমি কি কি বিষয়ের উপরে আলোচনা করব তা পেজ
সূচিপত্রে উল্লেখ থাকবে এবং পেজ সূচিপত্রে ৮ থেকে ১০ টি প্রয়োজনীয় হেডিং
রাখতে হবে।
আর্টিকেল সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদান করা
আর্টিকেল সম্পর্কে প্রয়োজনে তথ্য প্রদান করতে হবে। আমরা যেই সম্পর্কে লিখছি
সেই সম্পর্কে আগে ভালোভাবে পড়াশোনা ও গবেষণা করতে হবে। আমাকে আগে নিজে সেই
সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করতে হবে।
তারপরে সেই সম্পর্কে লিখতে হবে কেননা আমি আমার কন্টেন্ট এর মধ্যে যদি
উল্টাপাল্টা কিছু বা ভুল কিছু লিখি বা পোস্ট করি তাহলে মানুষজন আমার লেখা
কন্টেন্ট বা আমাদের লিখা কন্টেন্ট পড়বে না। তাই আমাদের তথ্যবহুল
কন্টেন্ট লিখতে হবে। যেটা পড়ে মানুষজন উপকৃত হয়।
আর্টিকেলে আরো পড়ুন বাটন যুক্ত করা
আর্টিকেলে আরো পড়ুন বাটন বার সেকশন যুক্ত করতে হবে এতে করে আমরা ওই
রিলেটেড বা ওই সম্পৃক্ত পোস্টগুলি আরো বলুন বাটনের সাথে সংযুক্ত করে এই
কন্টেন্টের সাথে সাথে অন্য কন্টেন্ট কেউ আমরা অডিয়েন্সের বা পাঠকের সামনে
উপস্থাপন করতে পারব।
প্রতিটি পোস্ট বা কনটেন্টে আমরা ৩ থেকে ৪ আরো করুন বাটন যুক্ত করব। এতে করে
আমাদের এই পোস্টটি সাথে সম্পৃক্ত অন্য পোস্টটিও পাঠকের সামনে উপস্থাপন
হবে। এতে করে আমাদের অন্য পোস্টগুলো পাঠকের সামনে উপস্থাপন হবে এবং তা পড়ে
পাঠক উপকৃত হবে।
আরো পড়ুন ঃ দুই কেজি ওজন কমাতে কত ক্যালরি বার্ন করতে হয়?
আর্টিকেলের লেখাগুলোকে ফরমেটিং করা
আমরা পোষ্টের মধ্যে বা কন্টেন্টের মধ্যে যা লিখব বা উপস্থাপন করব সেগুলোকে
সাজিয়ে গুছিয়ে বা ফরম্যাটিং করে লিখব। আমরা পোষ্টের মধ্যে যা লিখব সেই
লেখাগুলো কে আমরা জাস্টিফাই এলাইন দিয়ে ফরম্যাটিং করে নিব এতে করে
লিখাগুলো সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে যাবে।
আর্টিকেলের মধ্যে ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করা
আমরা আর্টিকেলের মধ্যে যা লিখব তাতে যদি কোন প্রকার লিঙ্ক যুক্ত করা লাগে তাহলে
আমরা লেখাগুলোর মধ্যে লিংকগুলা যুক্ত করব। এতে করে আমাদের পোস্টটি
তথ্যবহুল হবে। এবং পাঠক উপকৃত হবে।
যেমন টিপস আইটি ইনফো এই লিখের অপর ক্লিক
করলে আমার ওয়েবসাইট এ চলে যাবে। কারন এই লিখাই আমার ওয়েবসাইট এর লিঙ্ক যুক্ত করা
আছে।
স্ক্রিনশট গুলোকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা
যদি পোষ্ট লিখার সময় সেই পোষ্ট এ আমাদের স্ক্রিনশট দেয়ার দরকার হয় তবে আমরা
সে স্ক্রিনশট গুলাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে হবে। যেমনঃ আমরা নিচের
স্ক্রিনশটটি লক্ষ্য করি
এই স্ক্রিনশটটি মোটেও ভালো বা প্রফেসনাল দেখাচ্ছে নাহ। আমরা
নিচের আরেকটা স্ক্রিনশট লক্ষ্য করি
এই স্ক্রিনশটটি দেখতে ভালো লাগছে এবং প্রফেসনাল দেখাচ্ছে। তাই আমরা এই ভাবে
স্ক্রিনশট গুলোকে পাঠক এর সামনে উপস্থাপন করবো।
ফিচার ইমেজ (ছবি) ব্যবহার করা ও এস ই ও করা
যে কোনো পোষ্ট বা কন্টেন্ট এ ফিচার ইমেজ বা ছবি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করে। যে কন পোষ্টকে ফুটিয়া তুলে এবং সুন্দর করে। আমরা প্রতিটা পোষ্টে ৩টা ফিচার
ইমেজ ব্যাবহার করবো। সবগুলা ফিচার ইমেজ আমরা AI মধ্যমে বানাবো। এবং ফিচার ইমেজ
গুলোকে এস ই ও করে তারপর ওয়েবসাইট এ পোষ্ট করবো এতে আমাদের পোষ্ট গুলো কেউ
সার্চ দিলা সবার প্রথম এর দিক এ আসবে।
আর্টিকেল শেষে উপসংহার যুক্ত করা
প্রতিটি আর্টিকেল লিখা শেষে উপসংহার যুক্ত করা জরুরী। সম্পূর্ণ পোষ্ট এ কি
সম্পর্কে লিখেছে বা বলেছি তা উপসংহার এ উল্লেখ করতে হবে। এতে পাঠক এর জন্য
বুঝতে সুবিধা হবে। তাই প্রতিটি আর্টিকেল লিখা শেষে উপসংহার যুক্ত করা
জরুরী।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url